আমার বন্ধু রা
শুভজিৎ বন্দোপাধ্যায়
আমার বন্ধু গুলো সব আজব!!
যখন ফোন করবে উত্তর দেবে আবার না’ও তুলতে পারে।
কখন যে কার কি মর্জি বুঝিনা।
সবকটা’র বয়েস পন্চাশ পার তবু ছেলেমানুষী গেল না।
হঠাৎ করে বলে আমাকে গ্রুপে এ্যড কর।
আবার হঠাৎ করেই পালায় গ্রুপ ছেড়ে।
কেউ একজন একটু গালাগালি বা আজেবাজে কথা লিখলো তো আর একজনের গোঁসা।
সবকটাই বুড়ো কিন্তু ছেলেমানুষী গেল না।
আমার যতো দায়।
একে ওকে জড়ো করে কনফারেন্স কল করবো।
কিছুক্ষণ আড্ডার ব্যবস্থা করবো, হতভাগা দের বাঁচিয়ে রাখতে অক্সিজেন সরবরাহ করবো।
সব আমাকেই করতে হবে।
আমি মরে যাবার আগে এডভান্স খবর না দিলে কেউ বেটা জানতেও পারবে না মরে গেছি।
খালি বউ, বউ আর সংসার টাকা পয়সা করেই সবাই সারাদিন কাটিয়ে দিলো।
ওরে বন্ধু দের একটু দেখ।
সুখে, দুঃখে মনে করার জন্যেও অন্তত দশটা বন্ধুর নাম মনে রাখ।
মাঝেমধ্যে মনে করবি আমাদের স্কুলের শিক্ষক, ক্লাসরুম, টিউবওয়েলএ হাত পেতে জল খাওয়া।
গান্ধী স্যারের জীবনবিজ্ঞান ক্লাস, নীতিশ স্যারের গাট্টা, জ্যোতিরীশ স্যারের বাঘের মতো চাহনী।
মনে পড়ে টিফিনের সময় স্যারেদের ভলিবল খেলার কথা?
সেনাপতি স্যার সার্ভিস করলেন বল গেল সামনে আর হাতের উল্টো দিকে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়লো ক্লাস ফাইভের একটা ছেলে।
মনে হয় সব ই এই তো সেদিন!! অথচ দেখতে দেখতে প্রায় চল্লিশ বছর হতে চলল!
ভাবতে অবাক লাগে।
নিশীথের সাথে আমার গোঁসা পর্ব সে এক ইতিহাস!!
ধরে নিলাম আমার বন্ধুরা সবাই খুব ভালো আছে এবং থাকবে সারাজীবন।
নাই বা ফোন করুন।
মনে তো করবে… মনে তো পড়বে…
মহেশতলা স্কুলেরপাঁচিলের ভীতরে থেমে থাকা আমাদের কৈশোর কে, আমাদের জীবনের প্রথম ভাললাগার মান অভিমানের কারেন্ট আর চটপটি মাখা সহজ জীবন টা কে!!
শুভ সব লিখলি ۔কিন্তু খোঁড়া রবির হাত থেকে ঘন্টার রড কেড়ে ঘন্টা বাজানো ۔আর নোটিসের খাতা হতে ধুতি পড়া মাথুরদা কে দেখে সেই ছুটির ডাক আসা র আনন্দ কোনোদিনই ভোলার না ۔
লিখতে গেলে অনেক কথা।প্রভাত স্যারের দাঁত খিঁচিয়ে আসা।