শুভজিৎ বন্দোপাধ্যায়
আজ মহানবমী। রবিবার। সকালে বাজার গিয়েছিলাম সাপ্তাহিক কেনাকাটা করতে।
আলুর কেজি 35, পেঁয়াজ আশি টাকা, যে কোনো শব্জী 60 টাকা কেজি, কুমড়ো ছাড়া।
খাশির মাংস র দোকানে অন্তত পঞ্চাশ জনের লম্বা লাইন। রাত তিনটা থেকে লোকজন লাইন দিয়েছে।
কোথাও কোন অসুবিধা নেই। সব কিছু সুন্দরভাবে চলছে।
করোনা কি সত্যিই কোনো প্রভাব ফেলেছে আমাদের দৈনন্দিন অর্থনীতি তে!!
কিছু মানুষ যখন বাজারে দাঁড়িয়ে আলু কিনতেই ভয় পাচ্ছে ঠিক একই সময়ে একই সঙ্গে অপর একটি দল কিলো কিলো খাশির মাংস কিনছে অবলীলায়।
এই যে ভারসাম্য হীন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যার জন্মদাতা Globalization, যার ধারক ও বাহক “পূঁজি বাদ ” ,আজকে সেই ভারসাম্য হীন অর্থনীতির দাপটে বিশ্ব বাজার টালমাটাল।
থার্মোমিটার টাই যদি ঠিক না থাকে তবে সঠিকভাবে কি তাপমাত্রার হদিস পাওয়া যায়!!
মনে হয় বিশ্বঅর্থনীতিতে বিভিন্ন Parameter গুলো র পুনরায় সঠিক মূল্যায়ন দরকার।
ভুল হিসাব আর ভুল পরিসংখ্যান দিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি কে বেসামাল করে দেওয়ার বাজারী কৌশল থেকে সভ্যতাকে বাঁচাতে হবে।
একদিকে জমে ওঠা সম্পদের পাহাড় এবং ঠিক তার ই পাশে অভাবের বিশাল গহ্বর যখন পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে তখনও কি আমরা গতানুগতিক ধারায় চলবো, না কি পরিবর্তন আসবে চিন্তায়?
যুদ্ধ হবে চীনের সঙ্গে ভারতের না গরীবের সাথে বড়লোকের? বিত্তহীন দের সাথে বিত্তশালীদের আসন্ন লড়াই কে থামিয়ে রাখতেই কি তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো তে যুগযুগ ধরে চলে আসছে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা?
ইওরোপের দেশগুলো কিম্বা আমেরিকার বিভিন্ন দেশের মধ্যে যুদ্ধ কিম্বা বোমাবাজির ঘটনা আমরা তো দেখতে পাইনা!!
যতো লড়াই কেবলমাত্র এই তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো তে ই কেন?
সাধারণ মানুষের কাছে এই ভাবনার অবকাশ কোথায়?
আমরা তো এখন করোনা,লকডাউন আর
২০২১ এর ভোটপূজো নিয়ে ই ব্যস্ত।
বাজার আর বিজ্ঞান যেদিন থেকে হাত ধরাধরি করে বন্ধু হলো, শেষ হল প্রকৃতি, শেষ হল মানবসভ্যতা।
এ কথার মানে বুঝতেই আরও পন্চাশ বছর আরামসে কেটে যাবে আমাদের।