পাঁকাল মাছ
শুভজিৎ বন্দোপাধ্যায়
কয়েকমাস ধরে বাঙলার খবরের কাগজ সোস্যাল মিডিয়া জুড়ে আলোচনায় “রাজপুত”। অথচ সেই রাজপুতের বান্ধবী হবার অপরাধে বাঙালি মেয়ে রিয়া কে নিয়ে একশ্রেণীর অবাঙালী মানুষের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য সোস্যাল মিডিয়ায়। সেই বিষয়ে বাঙলার খবরের কাগজ আর বাঙালীর দল নির্বিকার।
আজ প্রায় ছ মাস যাবৎ বাঙলার অভিনেতা অভিনেত্রী এবং কলাকূশলীরা লক ডাউন বাজারে কি খেয়ে বেঁচে আছেন সেই নিয়ে কেউ ভাবতে রাজি নয়। ক’জন অভাবে পড়ে প্রতিদিন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বা হয়তো করেওছেন সেটা কোন দুশ্চিন্তা বা আলোচনার বিষয় ই না।
বরং এগুলো কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার ই বিষয়।
ঠিক যেমনটা এই শহরের মানুষ, শহরতলীর মানুষ, রাস্তায় পড়ে থাকা অসুস্থ লোকের ছবি তুলে সোস্যাল মিডিয়ায় নিজের আবেগ জাহির করতে যতটা উৎসাহী তার সিকি ভাগ ও নয় সেই মানুষটি কে বাঁচানোর জন্য সদর্থক কিছু করার চেষ্টা করতে, হাসপাতাল বা এ্যম্বুলেন্সের জোগাড় করতে।
সেখানেও সেই সুকৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার ই চেষ্টা।
বাঙলার মানুষ আজ সত্যিই চালাক হয়েছে। বাঁচতে শিখেছে!! রোজগার করতে শিখেছে।
অসুস্থ অসহায়, জীবিত অথবা মৃত ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে চাপ দিয়ে বেশি পয়সা আদায় করতে শুরু করেছে।
কখনো ডাক্তারের পোশাকে, কখনো হাসপাতাল পরিসেবা র অজুহাতে, কখনো এম্বুলেন্স চালক হয়ে নয়তো ডোমের পোশাকে!!
হাসপাতাল তিন লাখ টাকা চায়। রোগীর পরিজন দু লাখ আশি হাজার টাকা দিলেও রোগী হাসপাতালের ভেতরে ঢুকতে পায়না। মৃত্যু হয় হাসপাতালের দরজায়।
প্রশাসন মামলা করে। খবর হারিয়ে যায় কাগজের পাতা থেকে, আমাদের মন থেকে। গল্পের ইতি।
কোথায় সেই মোমবাতি মিছিল করা বাঙালীর দল? এলাকার মানুষ? স্থানীয় ক্লাবের ছেলেরা?
তালা ঝুলিয়ে দিতে পারে না এমন সব হাসপাতালের দরজায়? যেখানে চিকিৎসা নেই সেই হাসপাতালের দরকার ও নেই। এই কথা বলবে কে!
ভাঙচুর হলে সেটাই অন্যায়। রুগী কে খুন করলে অন্যায় হয় না বুঝি?
দিনে দিনে এলাকার মানুষ চালাক হয়েছে। সহজে পয়সা রোজগার শিখেছে।
তাই আর কেউ কিছু বলতে পারে না। ওরা সবাই বিক্রী হয়ে যাওয়া পাঁকাল মাছের দল। সাত চড়েও আর রা করবে না।
হায়রে হারিয়ে যাওয়া বাঙালির দল!
ফুটানি বাজ, বক্তৃতা সর্বশ্য যুবসমাজ!!
স্রোতে ভেসে মোমবাতি মিছিল করতে পারে, মুখ দিয়ে অনবরত ভুল ইঙরাজী আর হিন্দি কথা বলতে পারে, সোস্যাল মিডিয়ায় ভীষন ভাবে নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে পারে এবং কার্যকালে
পাঁকাল মাছের মতো লুকিয়ে পড়তে পারে দু কান কাটা হয়ে।
কোভিড একটা অসুখ। যার সাথে লড়তে হবে মানববন্ধন রচনা করে,যেমনটা বানর সেনারা করেছিল রামেশ্বরমে। হয়তো সে গল্প কথা তবু ও সেই পৌরাণিক কাহিনী আমাদের শেখায় সংকটকালে আচরণ কেমন হতে হবে।
আরও কাছাকাছি আরো সংঘবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী
প্রতিরোধে গড়েতুলতে হবে করোনা র বিরুদ্ধে।
তা না করে আমরা উল্টো দিকে চলেছি।
মানুষ মানুষের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। কোন প্রাতিবাদ নেই। কেবলমাত্র মোবাইল বলে চলেছে “আমাদের রোগের সাথে লড়তে হবে রোগীর সাথে নয়” কে শোনে এই সব বকোয়াস্।
আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এই সময় একটু পথে নামলে, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ালে সকলের আত্মবিশ্বাসটা কিছুটা হলেও অবশ্যই বাড়তো। ভয় পেত এইসব সমাজবিরোধীর দল।
মানুষ মানুষের জন্য মানুষের ই দরকার সবার আগে।
সব কাজ পুলিশ প্রশাসন দিদি আর মোদী র উপর ছেড়ে দিয়ে আর কতদিন কতকাল এই পাকাল মাছের জীবন কাটাবো আমরা? ব্যস্ত থাকবো নিজের আখের গোছাতে?
যত ই লুকিয়ে যাবে ততই হারিয়ে যাবে আমাদের এই দূর্লভ বাঙালী প্রজাতি!
একথা কিন্তু ভয়ঙ্কর সত্য।
বাঙালি মনে রেখো।
আজ প্রায় ছ মাস যাবৎ বাঙলার অভিনেতা অভিনেত্রী এবং কলাকূশলীরা লক ডাউন বাজারে কি খেয়ে বেঁচে আছেন সেই নিয়ে কেউ ভাবতে রাজি নয়। ক’জন অভাবে পড়ে প্রতিদিন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বা হয়তো করেওছেন সেটা কোন দুশ্চিন্তা বা আলোচনার বিষয় ই না।
বরং এগুলো কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার ই বিষয়।
ঠিক যেমনটা এই শহরের মানুষ, শহরতলীর মানুষ, রাস্তায় পড়ে থাকা অসুস্থ লোকের ছবি তুলে সোস্যাল মিডিয়ায় নিজের আবেগ জাহির করতে যতটা উৎসাহী তার সিকি ভাগ ও নয় সেই মানুষটি কে বাঁচানোর জন্য সদর্থক কিছু করার চেষ্টা করতে, হাসপাতাল বা এ্যম্বুলেন্সের জোগাড় করতে।
সেখানেও সেই সুকৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার ই চেষ্টা।
বাঙলার মানুষ আজ সত্যিই চালাক হয়েছে। বাঁচতে শিখেছে!! রোজগার করতে শিখেছে।
অসুস্থ অসহায়, জীবিত অথবা মৃত ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে চাপ দিয়ে বেশি পয়সা আদায় করতে শুরু করেছে।
কখনো ডাক্তারের পোশাকে, কখনো হাসপাতাল পরিসেবা র অজুহাতে, কখনো এম্বুলেন্স চালক হয়ে নয়তো ডোমের পোশাকে!!
হাসপাতাল তিন লাখ টাকা চায়। রোগীর পরিজন দু লাখ আশি হাজার টাকা দিলেও রোগী হাসপাতালের ভেতরে ঢুকতে পায়না। মৃত্যু হয় হাসপাতালের দরজায়।
প্রশাসন মামলা করে। খবর হারিয়ে যায় কাগজের পাতা থেকে, আমাদের মন থেকে। গল্পের ইতি।
কোথায় সেই মোমবাতি মিছিল করা বাঙালীর দল? এলাকার মানুষ? স্থানীয় ক্লাবের ছেলেরা?
তালা ঝুলিয়ে দিতে পারে না এমন সব হাসপাতালের দরজায়? যেখানে চিকিৎসা নেই সেই হাসপাতালের দরকার ও নেই। এই কথা বলবে কে!
ভাঙচুর হলে সেটাই অন্যায়। রুগী কে খুন করলে অন্যায় হয় না বুঝি?
দিনে দিনে এলাকার মানুষ চালাক হয়েছে। সহজে পয়সা রোজগার শিখেছে।
তাই আর কেউ কিছু বলতে পারে না। ওরা সবাই বিক্রী হয়ে যাওয়া পাঁকাল মাছের দল। সাত চড়েও আর রা করবে না।
হায়রে হারিয়ে যাওয়া বাঙালির দল!
ফুটানি বাজ, বক্তৃতা সর্বশ্য যুবসমাজ!!
স্রোতে ভেসে মোমবাতি মিছিল করতে পারে, মুখ দিয়ে অনবরত ভুল ইঙরাজী আর হিন্দি কথা বলতে পারে, সোস্যাল মিডিয়ায় ভীষন ভাবে নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে পারে এবং কার্যকালে
পাঁকাল মাছের মতো লুকিয়ে পড়তে পারে দু কান কাটা হয়ে।
কোভিড একটা অসুখ। যার সাথে লড়তে হবে মানববন্ধন রচনা করে,যেমনটা বানর সেনারা করেছিল রামেশ্বরমে। হয়তো সে গল্প কথা তবু ও সেই পৌরাণিক কাহিনী আমাদের শেখায় সংকটকালে আচরণ কেমন হতে হবে।
আরও কাছাকাছি আরো সংঘবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী
প্রতিরোধে গড়েতুলতে হবে করোনা র বিরুদ্ধে।
তা না করে আমরা উল্টো দিকে চলেছি।
মানুষ মানুষের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। কোন প্রাতিবাদ নেই। কেবলমাত্র মোবাইল বলে চলেছে “আমাদের রোগের সাথে লড়তে হবে রোগীর সাথে নয়” কে শোনে এই সব বকোয়াস্।
আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এই সময় একটু পথে নামলে, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ালে সকলের আত্মবিশ্বাসটা কিছুটা হলেও অবশ্যই বাড়তো। ভয় পেত এইসব সমাজবিরোধীর দল।
মানুষ মানুষের জন্য মানুষের ই দরকার সবার আগে।
সব কাজ পুলিশ প্রশাসন দিদি আর মোদী র উপর ছেড়ে দিয়ে আর কতদিন কতকাল এই পাকাল মাছের জীবন কাটাবো আমরা? ব্যস্ত থাকবো নিজের আখের গোছাতে?
যত ই লুকিয়ে যাবে ততই হারিয়ে যাবে আমাদের এই দূর্লভ বাঙালী প্রজাতি!
একথা কিন্তু ভয়ঙ্কর সত্য।
বাঙালি মনে রেখো।