একটা টেনশনের দিন।
শুভজিৎ ও সান্তনা২০০১ সালের জুন মাসের ঘটনা।
তখন আমি উড়িষ্যার কানসবহালে চাকরি করছি।
দুপুরে ঠিক লান্চের পর হঠাৎ আমার বস চেম্বার থেকে বেরিয়ে ডাকলেন
“শুভজিৎ থোড়া ইধার আও…”হঠাৎ এমন গলায় আওয়াজ!!
“তুমহারা ফোন আয়া ঘরসে জলদি উঠাও”
অন্যদের মতো আমার ও বুকটা ধড়াস করে উঠলো।চেম্বারে ঢুকলাম।
“শুভজিৎ , একটু আগে তোমার বাবা ফোন করে জানালেন যে সান্তনা কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিন্তা র কিছু নেই।
রিসিভার টা টেবিলে শুয়ে রয়েছে।ওঠালাম। হাত ঘামছে।
ওপার থেকে চক্রবর্তী কাকুর গলা তুমি আজকের রাতের ট্রেনে আসতে পারলে ভালো”
আমি বললাম ঠিক আছে কাকু।ফোন রাখলাম।
বললাম “স্যার, wife এর ডেলিভারীর ব্যাপার আছে।”
বস B.S.Thakur উদ্বিগ্ন মুখে তাকিয়ে।
আভি তো কোই ট্রেন হ্যায় নেহী। রাত ন বাজে সম্বলেশ্বরী মে হি যায়েগা।
আরে ভাই good news. Don’t worry. তুম আভি নিকাল যাও।
রাত নটার ট্রেনে উঠে সকালে হাওড়া স্টেশনে নেমে বেহালা বালানন্দ হাসপাতালের সামনে উপস্থিত হলাম, সকাল সাড়ে সাতটায়।
শ্বশুর মশাই আর কার্তিক (আমার শ্যালক) দাঁড়িয়ে রয়েছে। শ্বশুর মশাই বললেন,”গতকাল সন্ধ্যায় তুমি ছেলের বাবা হয়েছো। মা ও সন্তান দুজনেই ঠিক আছে।
মানুষ চলে যায় কিন্তু পরিচয় থেকে যায় তাদের কাজের মধ্যে। কথায়, আন্তরিকতায়।
চলো তোমাকে দেখিয়ে আনি।”টেনশন শেষ হলো।
মনে হয় যেন,এই তো সেদিনের ঘটনা। অথচ দেখতে দেখতে কতগুলো বছর পার হয়ে গেল।চক্রবর্তী কাকু কাকীমা এখনো বেঁচে আছেন।
অনেকেই বেঁচে নেই। যোগাযোগ ছিন্ন হয়েছে অনেকের সাথেই, তবু আজও আমরা সবাই মনে প্রানে কানসবহালাইট।
এনাদের মতো অনেক কাকু কাকীমা, দাদা বৌদি রা আমার কানসবাহাল জীবনের অমূল্য সম্পদ।
B.S.Thakur Head of Engineering, Kansbahal আজ আর নেই। চলে গেলেন আমার শ্বশুর মশাই ও মাস কয়েক আগে।
তবু কেন জানি না আজ আমার বড় ছেলে বিশালের জন্মদিনের সকালে মনে হচ্ছে এইসব মানুষের আশীর্বাদ ছিল বলে ই
জীবনের অনেক বিপদ পার হয়ে গেছে সহজেই।
ছেলের জন্মদিন, প্রতিটি দিন আনন্দ ময় হোক। মঙ্গলময়ের কাছে মা-বাবা হিসাবে এটাই আমাদের একমাত্র প্রার্থনা।
শুভজিৎ ও সান্তনা২০০১ সালের জুন মাসের ঘটনা।
তখন আমি উড়িষ্যার কানসবহালে চাকরি করছি।
দুপুরে ঠিক লান্চের পর হঠাৎ আমার বস চেম্বার থেকে বেরিয়ে ডাকলেন
“শুভজিৎ থোড়া ইধার আও…”হঠাৎ এমন গলায় আওয়াজ!!
“তুমহারা ফোন আয়া ঘরসে জলদি উঠাও”
অন্যদের মতো আমার ও বুকটা ধড়াস করে উঠলো।চেম্বারে ঢুকলাম।
“শুভজিৎ , একটু আগে তোমার বাবা ফোন করে জানালেন যে সান্তনা কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিন্তা র কিছু নেই।
রিসিভার টা টেবিলে শুয়ে রয়েছে।ওঠালাম। হাত ঘামছে।
ওপার থেকে চক্রবর্তী কাকুর গলা তুমি আজকের রাতের ট্রেনে আসতে পারলে ভালো”
আমি বললাম ঠিক আছে কাকু।ফোন রাখলাম।
বললাম “স্যার, wife এর ডেলিভারীর ব্যাপার আছে।”
বস B.S.Thakur উদ্বিগ্ন মুখে তাকিয়ে।
আভি তো কোই ট্রেন হ্যায় নেহী। রাত ন বাজে সম্বলেশ্বরী মে হি যায়েগা।
আরে ভাই good news. Don’t worry. তুম আভি নিকাল যাও।
রাত নটার ট্রেনে উঠে সকালে হাওড়া স্টেশনে নেমে বেহালা বালানন্দ হাসপাতালের সামনে উপস্থিত হলাম, সকাল সাড়ে সাতটায়।
শ্বশুর মশাই আর কার্তিক (আমার শ্যালক) দাঁড়িয়ে রয়েছে। শ্বশুর মশাই বললেন,”গতকাল সন্ধ্যায় তুমি ছেলের বাবা হয়েছো। মা ও সন্তান দুজনেই ঠিক আছে।
মানুষ চলে যায় কিন্তু পরিচয় থেকে যায় তাদের কাজের মধ্যে। কথায়, আন্তরিকতায়।
চলো তোমাকে দেখিয়ে আনি।”টেনশন শেষ হলো।
মনে হয় যেন,এই তো সেদিনের ঘটনা। অথচ দেখতে দেখতে কতগুলো বছর পার হয়ে গেল।চক্রবর্তী কাকু কাকীমা এখনো বেঁচে আছেন।
অনেকেই বেঁচে নেই। যোগাযোগ ছিন্ন হয়েছে অনেকের সাথেই, তবু আজও আমরা সবাই মনে প্রানে কানসবহালাইট।
এনাদের মতো অনেক কাকু কাকীমা, দাদা বৌদি রা আমার কানসবাহাল জীবনের অমূল্য সম্পদ।
B.S.Thakur Head of Engineering, Kansbahal আজ আর নেই। চলে গেলেন আমার শ্বশুর মশাই ও মাস কয়েক আগে।
তবু কেন জানি না আজ আমার বড় ছেলে বিশালের জন্মদিনের সকালে মনে হচ্ছে এইসব মানুষের আশীর্বাদ ছিল বলে ই
জীবনের অনেক বিপদ পার হয়ে গেছে সহজেই।
ছেলের জন্মদিন, প্রতিটি দিন আনন্দ ময় হোক। মঙ্গলময়ের কাছে মা-বাবা হিসাবে এটাই আমাদের একমাত্র প্রার্থনা।