বাবা’র কথা
শুভজিৎ বন্দোপাধ্যায়
শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরী হলেই প্রথমে গায়ের উপর থেকে লেপ গায়েব হয়ে যেত।
তবুও শুয়ে থাকলে পা ধরে টান।
এই ছিল বাবা’র ঘুম থেকে তোলার পদ্ধতি।
যোগাসন, শরীরের যত্ন,দাঁতের যত্ন, স্নানের আগে সারা গায়ে সর্ষের তেল দিয়ে রগড়ানো, ভিজে গামছা দিয়ে গা রগড়ানো ইত্যাদি প্রতিটি ব্যাপারে বাবার নিয়মিত নজরদারির মধ্যে কবে যে কৈশোর পেরিয়ে যৌবনের গান ধরলাম খেয়াল নেই।
সত্যি বলছি, অনেক কিছু কল্পনা, অনেক ভালোলাগা অনেক অনেক অদ্ভুত সব বয়োসোচিত চিন্তা ভাবনা মনে এলেও কেবলমাত্র বাবাকে সেই সবকিছুর থেকে অনেকটা বেশী কিছু ভাবতাম বলেই হয়তো কোন অভাব বোধ, কোন উদাসীনতা মনে বাসা বাঁধতে পারে নি।
সব চাহিদা পূরণের মাধ্যম আমার বাবা।
সব চাহিদা পূরণের মাধ্যম আমার বাবা।
পয়সা দিয়ে নয়,মনের খোরাক গুলো সময় মতো জুগিয়ে।
তাঁর সারাটি দিনের সিংহভাগই আমাদের পড়াশোনা, খেলাধুলা, গল্প, গান, কবিতা এবং বিভিন্ন জেনারেল নলেজ ছোট খাটো ঘোরা বেড়ানোর মধ্যে ই কেটে যেত।
বাবা ছাড়া কোন কিছুই ভালো লাগতো না।
বাবার মতো এনসাইক্লোপিডিয়া আর কোথাও পেতাম না।
তাঁর সারাটি দিনের সিংহভাগই আমাদের পড়াশোনা, খেলাধুলা, গল্প, গান, কবিতা এবং বিভিন্ন জেনারেল নলেজ ছোট খাটো ঘোরা বেড়ানোর মধ্যে ই কেটে যেত।
বাবা ছাড়া কোন কিছুই ভালো লাগতো না।
বাবার মতো এনসাইক্লোপিডিয়া আর কোথাও পেতাম না।
এখন আমি ও বাবা, কিন্তু আমার সন্তানদের অজানা তথ্য জানতে রয়েছে গুগল মামা আমি নয়।
আমি তো সকাল থেকে রাত অবধি অফিসের লোক।
আমি তো সকাল থেকে রাত অবধি অফিসের লোক।
ছেলেরা আমার কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণ করছে। তাদের মন, মানসিক নিয়ে ভাবনার কিম্বা কিছু কথা বলার, তাদের সঙ্গে সময় নষ্ট করার সময় কই !
আমি তো সারাদিন ব্যস্ত নয়তো দিনের শেষে ক্লান্ত।
দিনের মধ্যে দরকারে কয়েকবার মোবাইল এ জনসংযোগ হয়, মনোসংযোগ হয় না।
আমার বাবা, যে মেহনত,সময় আমার জন্য দিয়েছেন আজকে সেই জন্য এখনো তিনি আমার মনে সজীব। দশবছর আগের এই তারিখে ই তাঁর “এমন একান্ত ছেড়ে যাওয়া”, তবু সমস্ত কাজে কর্মে মনে পড়ে যায়।
আমার বাবা, যে মেহনত,সময় আমার জন্য দিয়েছেন আজকে সেই জন্য এখনো তিনি আমার মনে সজীব। দশবছর আগের এই তারিখে ই তাঁর “এমন একান্ত ছেড়ে যাওয়া”, তবু সমস্ত কাজে কর্মে মনে পড়ে যায়।
কিন্তু আমি!!
সময় থাকতে সময় দিলাম কই!!