ফেলুদার বেলাশেষে
শুভজিৎ বন্দোপাধ্যায়
চল্লিশ দিন সময় দিয়েছিলেন আমাদের।
মানসিক প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ঠ এই সময়।
জানতাম, ফিরবেনা আর স্বাভাবিক সেই জীবনে।
হলো ও ঠিক তেমনি।
নিয়মিত রুটিন মেনে চলা জীবনের ও সমাপ্তি ঘটে সময়ের নিয়মে।
তবু আমরা নিয়ম মেনে চলতেই ভালোবাসি।
আমার বাবা বেসরকারি হাসপাতালের ICU তে একসপ্তাহ কাটিয়েছিলেন শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার কারণে। ডাক্তারী ভাষায় COPD.
অষ্টম দিনে ডাক্তার বললেন বাবাকে ভেন্টিলেশনে দিতে হবে অবস্থা খুব খারাপ।
আমি জানতে চেয়েছিলাম কেন অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে ভেন্টিলেশনে? কেন কয়েকদিন আগে দেওয়া হয় নি? অথবা ভর্তির সাথে সাথেই?
ডাক্তারের উত্তর, “We maintain our protocol”.
মানুষ তো protocol মেনে পৃথিবীতে আসে না।
যায় ও না। তবু জীবনজুড়ে কেন এতো সব প্রোটোকলের বেড়াজাল?
হয়তো প্লাজমাথেরাপি অথবা শ্বাসনালীর অপারেশন টা দশ দিন আগে করলে কিছু টা ভালো ফলাফল হতো! সৌমিত্র বাবুর শরীর সেই ধকল টা নিতে পারতো, যেটা এই বেলাশেষে আর সম্ভব না।
শরীর আর মনের শক্তি ফুরিয়ে গেলে যন্ত্রের শক্তিতে দূর্বল শরীর টা আর ক’টা দিন ই বা বাঁচে!!
তাই চুরাশি তম বসন্তের শেষ বেলা টা আর দেখা হলো না “বেলাশেষের” নায়কের!
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় মরিয়া প্রমাণ করিলেন
এতদিন তিনি মরেণ নাই।
কেবলমাত্র এটুকু প্রমানের তাগিদেই কি বর্তমানের
চিকিৎসা ব্যবসায় এতোসব প্রোটোকলের বেড়াজাল?
জালের জালে জড়িয়ে জীবন আমাদের জন্জালে পরিবর্তিত হয়েছে আজ। মুক্তি নেই কারো,
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় থেকে আম জনতার।
শিল্পী র মৃত্যু হয় না। বিপ্লব চিরদিন অমর থাকে।
সঙ্গ্রামী সৌমিত্র জীবনের বিনিময়ে প্রমান করে দিয়ে গেলেন বড় গাছের ছায়ায় থেকেও বড়ো হওয়া যায়। গড্ডালিকার শ্রোতে ভেসে না গিয়েও ভেসে চলা যায়।
নিজের জীবন টা নিজের মতবাদ ও মূল্যবোধের উপর দিয়ে সুন্দর ভাবে পার করাযায় মূল্যবোধহীন বর্তমানের আধুনিক সমাজব্যবস্থায় আবদ্ধ থেকেও।
অপুর সংসার টা অপুর ইচ্ছা মত বানানো সম্ভব,
যদি নিজেকে নিজের বসে রাখা যায়।
আনন্দ শুধু আনন্দ।
আমাদের শিল্প সংস্কৃতি র সুবর্নযুগের অবসান হতে চললো।
এখন শুধুই পরজিবী হয়ে টিকে থাকার চেষ্টা।
মানসিক প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ঠ এই সময়।
জানতাম, ফিরবেনা আর স্বাভাবিক সেই জীবনে।
হলো ও ঠিক তেমনি।
নিয়মিত রুটিন মেনে চলা জীবনের ও সমাপ্তি ঘটে সময়ের নিয়মে।
তবু আমরা নিয়ম মেনে চলতেই ভালোবাসি।
আমার বাবা বেসরকারি হাসপাতালের ICU তে একসপ্তাহ কাটিয়েছিলেন শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার কারণে। ডাক্তারী ভাষায় COPD.
অষ্টম দিনে ডাক্তার বললেন বাবাকে ভেন্টিলেশনে দিতে হবে অবস্থা খুব খারাপ।
আমি জানতে চেয়েছিলাম কেন অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে ভেন্টিলেশনে? কেন কয়েকদিন আগে দেওয়া হয় নি? অথবা ভর্তির সাথে সাথেই?
ডাক্তারের উত্তর, “We maintain our protocol”.
মানুষ তো protocol মেনে পৃথিবীতে আসে না।
যায় ও না। তবু জীবনজুড়ে কেন এতো সব প্রোটোকলের বেড়াজাল?
হয়তো প্লাজমাথেরাপি অথবা শ্বাসনালীর অপারেশন টা দশ দিন আগে করলে কিছু টা ভালো ফলাফল হতো! সৌমিত্র বাবুর শরীর সেই ধকল টা নিতে পারতো, যেটা এই বেলাশেষে আর সম্ভব না।
শরীর আর মনের শক্তি ফুরিয়ে গেলে যন্ত্রের শক্তিতে দূর্বল শরীর টা আর ক’টা দিন ই বা বাঁচে!!
তাই চুরাশি তম বসন্তের শেষ বেলা টা আর দেখা হলো না “বেলাশেষের” নায়কের!
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় মরিয়া প্রমাণ করিলেন
এতদিন তিনি মরেণ নাই।
কেবলমাত্র এটুকু প্রমানের তাগিদেই কি বর্তমানের
চিকিৎসা ব্যবসায় এতোসব প্রোটোকলের বেড়াজাল?
জালের জালে জড়িয়ে জীবন আমাদের জন্জালে পরিবর্তিত হয়েছে আজ। মুক্তি নেই কারো,
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় থেকে আম জনতার।
শিল্পী র মৃত্যু হয় না। বিপ্লব চিরদিন অমর থাকে।
সঙ্গ্রামী সৌমিত্র জীবনের বিনিময়ে প্রমান করে দিয়ে গেলেন বড় গাছের ছায়ায় থেকেও বড়ো হওয়া যায়। গড্ডালিকার শ্রোতে ভেসে না গিয়েও ভেসে চলা যায়।
নিজের জীবন টা নিজের মতবাদ ও মূল্যবোধের উপর দিয়ে সুন্দর ভাবে পার করাযায় মূল্যবোধহীন বর্তমানের আধুনিক সমাজব্যবস্থায় আবদ্ধ থেকেও।
অপুর সংসার টা অপুর ইচ্ছা মত বানানো সম্ভব,
যদি নিজেকে নিজের বসে রাখা যায়।
আনন্দ শুধু আনন্দ।
আমাদের শিল্প সংস্কৃতি র সুবর্নযুগের অবসান হতে চললো।
এখন শুধুই পরজিবী হয়ে টিকে থাকার চেষ্টা।