ঘোঘড় মন্দিরে শ্রাবণী মেলা
শুভজিৎ বন্দোপাধ্যায়
হাওড়া মুম্বাই মেন লাইনে রাউরকেল্লা স্টেশনের পরেই একটা ছোট নদীর উপর দিয়ে ট্রেন ছোটে ঝমাঝম শব্দে। ঐ নদীর নাম ব্রাহ্মণী নদী।
তার ধারেই ছোট্ট অখ্যাত স্টেশন “পানপোষ”
সম্বলপুর এক্সপ্রেস ছাড়া আর কোন এক্সপ্রেস ই এই স্টেশনে দাঁড়াবার সময় পায় না।
এই স্টেশনের কাছেই শান্তির ও চিরশান্তি র ঠিকানা শান্ত নীর্জন বেদব্যাস মন্দির।
এর ই পা ছুঁয়ে বয়ে গেছে ব্রাহ্মণী নদী।
সেই নদী থেকে ঘটে,ঘড়ায় জল ভরে বাঁকে নিয়ে খালি পায়ে দলবল মিলে প্রায় দশ বারো ঘন্টা চলার পরে রাজগাঙপুর হয়ে এসে পৌঁছান যায় ঘোঘড় মন্দিরে।
শ্রাবণ মাস জুড়ে মন্দির প্রাঙ্গণে বিশাল মেলা বসে। জানিনা লকডাউনের কারনে এবারের শ্রাবনীমেলার কি হবে!!
একটা ছোট্ট ব-দ্বীপের মধ্যে পাথুরে জমির ওপর বিশাল এক অর্জুনের ছায়ায় নীর্জনে গড়ে উঠেছে এই মন্দির। মন্দির কে জড়িয়ে রয়েছে একটি ছোট স্রোতস্বিনী। বর্ষায় সে প্রগলভ আর বাকি সময় “ঝিরিঝিরি ঝোরা তিরিতিরি নাচে রে”।
এ হলো ভগবান মহেশ্বরের নিবাস। ওড়িশার এক পবিত্র উপাসনা স্থল। “ঘোঘড় ধাম”।
শ্রাবণের প্রতি রবিবার রাত থেকে প্রচুর মানুষের ভিড় জমে মন্দিরের চারপাশে, মেলার মাঠে।
লাল রঙের গোলাপ জামুন, পুরি, সব্জী, লাল লাল রঙের জিলাবী তৈরী হচ্ছে আর বিক্রি চলছে সারা রাত ধরে। আছে মেলায় থাকার মতো অন্যান্য সাধারণ দোকান পাট।
আলোআঁধারিতে নজর করলে দেখা যায় বাবার প্রসাদ ফিরি হচ্ছে হাতে হাতে। হাত বাড়িয়ে দিলে কেউ না বলবে না। বর্ষা র জল কাদা,মশা, পোকামাকড়,সাপ সকলের সহাবস্থান কিন্তু নির্বিবাদে সবাই বাবার দর্শন আনন্দে বিভোর।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা বিনামূল্যে জল ও খাবারের ব্যবস্থা ও রয়েছে।
সোমবার দিনের আলো ফোটার সাথে সাথে বাবার মাথায় জল ঢেলে মন্দির প্রাঙ্গণে একটু জিরিয়ে এবার ফেরার পালা।
লাল গেরুয়া পোশাকের দল “বোল ব্যাম” আওয়াজ তুলে আবার হারিয়ে যায় জন অরণ্যে। যদি সখ থাকে আর পা এ জোর থাকে তবে আর কয়েক কিলোমিটার চললেই ঘুরে আসা যায় কানসবহাল ড্যাম।
একদম নীর্জনে কোনো কেন্দ্রীয় রক্ষীবাহিনী ছাড়াই বেশ বহাল তবিয়তে রয়েছে এই জলাধার একরাশ কালো জল বুকে নিয়ে ভাবলেশহীন ভাবে। শান্ত অথচ গভীর। স্তব্ধ অথচ সজীব।
আত্মোপলব্ধি এক অচেনা স্বর্গ।
হাওড়া মুম্বাই মেন লাইনের উপর। রাউরকেল্লার থেকে মাত্র দুই ইস্টিশন দূরে।
কানসবহাল। একমাত্র ৮০০৫ আপ সম্বলপুর এক্সপ্রেস ই দয়া করে কয়েক মিনিটের বিরতি নেয় এই কানসবহাল ইস্টিশনে, তার আসা যাওয়ার পথে।
তার ধারেই ছোট্ট অখ্যাত স্টেশন “পানপোষ”
সম্বলপুর এক্সপ্রেস ছাড়া আর কোন এক্সপ্রেস ই এই স্টেশনে দাঁড়াবার সময় পায় না।
এই স্টেশনের কাছেই শান্তির ও চিরশান্তি র ঠিকানা শান্ত নীর্জন বেদব্যাস মন্দির।
এর ই পা ছুঁয়ে বয়ে গেছে ব্রাহ্মণী নদী।
সেই নদী থেকে ঘটে,ঘড়ায় জল ভরে বাঁকে নিয়ে খালি পায়ে দলবল মিলে প্রায় দশ বারো ঘন্টা চলার পরে রাজগাঙপুর হয়ে এসে পৌঁছান যায় ঘোঘড় মন্দিরে।
শ্রাবণ মাস জুড়ে মন্দির প্রাঙ্গণে বিশাল মেলা বসে। জানিনা লকডাউনের কারনে এবারের শ্রাবনীমেলার কি হবে!!
একটা ছোট্ট ব-দ্বীপের মধ্যে পাথুরে জমির ওপর বিশাল এক অর্জুনের ছায়ায় নীর্জনে গড়ে উঠেছে এই মন্দির। মন্দির কে জড়িয়ে রয়েছে একটি ছোট স্রোতস্বিনী। বর্ষায় সে প্রগলভ আর বাকি সময় “ঝিরিঝিরি ঝোরা তিরিতিরি নাচে রে”।
এ হলো ভগবান মহেশ্বরের নিবাস। ওড়িশার এক পবিত্র উপাসনা স্থল। “ঘোঘড় ধাম”।
শ্রাবণের প্রতি রবিবার রাত থেকে প্রচুর মানুষের ভিড় জমে মন্দিরের চারপাশে, মেলার মাঠে।
লাল রঙের গোলাপ জামুন, পুরি, সব্জী, লাল লাল রঙের জিলাবী তৈরী হচ্ছে আর বিক্রি চলছে সারা রাত ধরে। আছে মেলায় থাকার মতো অন্যান্য সাধারণ দোকান পাট।
আলোআঁধারিতে নজর করলে দেখা যায় বাবার প্রসাদ ফিরি হচ্ছে হাতে হাতে। হাত বাড়িয়ে দিলে কেউ না বলবে না। বর্ষা র জল কাদা,মশা, পোকামাকড়,সাপ সকলের সহাবস্থান কিন্তু নির্বিবাদে সবাই বাবার দর্শন আনন্দে বিভোর।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা বিনামূল্যে জল ও খাবারের ব্যবস্থা ও রয়েছে।
সোমবার দিনের আলো ফোটার সাথে সাথে বাবার মাথায় জল ঢেলে মন্দির প্রাঙ্গণে একটু জিরিয়ে এবার ফেরার পালা।
লাল গেরুয়া পোশাকের দল “বোল ব্যাম” আওয়াজ তুলে আবার হারিয়ে যায় জন অরণ্যে। যদি সখ থাকে আর পা এ জোর থাকে তবে আর কয়েক কিলোমিটার চললেই ঘুরে আসা যায় কানসবহাল ড্যাম।
একদম নীর্জনে কোনো কেন্দ্রীয় রক্ষীবাহিনী ছাড়াই বেশ বহাল তবিয়তে রয়েছে এই জলাধার একরাশ কালো জল বুকে নিয়ে ভাবলেশহীন ভাবে। শান্ত অথচ গভীর। স্তব্ধ অথচ সজীব।
আত্মোপলব্ধি এক অচেনা স্বর্গ।
হাওড়া মুম্বাই মেন লাইনের উপর। রাউরকেল্লার থেকে মাত্র দুই ইস্টিশন দূরে।
কানসবহাল। একমাত্র ৮০০৫ আপ সম্বলপুর এক্সপ্রেস ই দয়া করে কয়েক মিনিটের বিরতি নেয় এই কানসবহাল ইস্টিশনে, তার আসা যাওয়ার পথে।