কতো’ই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়
শুভজিৎ বন্দোপাধ্যায়
রিয়া থেকে দীপিকা হয়ে মাদক কান্ড যখন গুটি গুটি পায়ে বলিউডের বাদশা মিয়া দের দরজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই অবতার রূপে অবতীর্ণ হল হাতরাস ধর্ষণ।
ঝাপিয়ে পড়ল মিডিয়া আর রাহুল গান্ধী। সব ক্যামেরার আলো ঝলমল করে উঠল উত্তর প্রদেশের রাজধানী তে।
মনে হচ্ছে যেন নির্ভয়া কান্ডের পর আমাদের দেশে আবারও একটা জঘন্য কান্ড ঘটল।
মাঝের সময়টাতে সব কিছুই তবে ঠিক ঠাক ই ছিল!!
ভারতবর্ষের কোথাও কোন ধর্ষণ,খুন, রাহাজানি র ঘটনাই ঘটেনি!!
কখনো কি মনে হয় না সমস্ত চরিত্র ই কাল্পনিক?
অবাক লাগে না, যখন একটি ঘটনাকে সরিয়ে দিতে সামনে আনা হয় আর ও একটা নতুন খোরাক?
ধর্ষণ যদি নিন্দা র তবে তা দেশের প্রতিটি ঘটনার খেত্রে এক ই রকম হৈচৈ ফেলে না কেন? সেখানেও কেন এত জাতপাত আর এলাকা এবং রাজনীতির সীমারেখার বিচার?
********
বাজার, দোকান অফিস, কাছারি, নিউমার্কেট সর্বত্র ই আবার সেই চেনা ভীড়। বাস মিনিবাস অটো তেও আগের দিন ফিরে এসেছে। বন্ধ কেবলমাত্র লোকাল ট্রেন। অনিয়মিত দূরপাল্লার ট্রেন।
এদিকে এই সময় মারুতি কোম্পানি র ঝিমিয়ে পড়া ব্যবসা বেড়েছে ৩০%!! টু হুইলারের কোম্পানি গুলো র ব্যবসা এবং দাম দুটোই বেড়েছে চোখে পড়ার মতো।
দুটো ঘটনার মধ্যে কি কোনো যোগাযোগ আছে?
হয়তো বা না।
**********”
করোনায় দেশ জুড়ে মৃত্যু আর সঙক্রমনের হার বৃদ্ধির সাথেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাধারণ মানুষের হেল্থইনসিওরেন্সে বিনিয়োগ। সুযোগ বুঝে সেখানে প্রিমিয়াম বাড়িয়ে দিল ইনসিওরেন্স কোম্পানি। যত প্রিমিয়াম ততই জি এস টি আদায় সরকারের। চুপচাপ বসে বসে রোজগার।
তাইতো আমাদের দরদী সরকার ইনসিওরেন্সের প্রিমিয়াম বৃদ্ধিতেও নীরব। সেই প্রিমিয়ামের উপর ১৮%জিএস টির হার কমাতেও অনিচ্ছুক।
যেখানে সোনার দামে র উপর জিএস টির হার মাত্র ৩%!!
*********
বেসরকারী হাসপাতাল গুলো, যাদের অধিকাংশই বেশকিছুদিন ধরে কার্যত মাছি তাড়াচ্ছিলো, আজ করোনা ভগবানের কৃপায় তাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ। সেখানেও মহামান্য সরকারের
জি এস টি বাবদ আয় রয়েগেছে। তাই নার্সিং হোম গুলোর দিনে ডাকাতি চলতে ই থাকে কমিশনের নির্দেশ উপেক্ষা করে। মিডিয়া চেঁচামেচি করে। জনতা চোখের জল ফেলে। আর সবাই হিসেব বুঝতে ব্যস্ত।
**********
ওষুধের কোম্পানি গুলো র পোয়া বারো। ৩০ টাকার ভিটামিন ক্যাপসুলের পাতা এখন ৮৫ টাকা।
আরও ঔষধের দাম বৃদ্ধির কথা লিখতে বসলে দিন শেষ হয়ে যাবে। ভুক্ত ভোগী মানুষ সবাই সব কিছু জানেন বোঝেন প্রতিদিনের বাজার দোকান থেকে।
ভাগ্যিস নেতাজী সুভাষচন্দ্র আজ আর নেই।
উনি থাকলে এই গনতন্ত্র আর এই ভোটের রাজনীতি কে কবে’ই “মার ঝাড়ু মার ঝাড়ু মেরে ঝেঁটিয়ে বিদায় কর” বলে গঙ্গায় ছুড়ে ফেলে দিতেন।