কোয়েলের বুকে
শুভজিৎ বন্দোপাধ্যায়
একটা সুন্দর কাঠের বাড়ি।
তার সামনে দিয়ে একটা ছোট নদী।
পেছনে একটা ছোট খাটো পাহাড়।
সবূজে ভরা।
দেখলে ভয় করে না। মনেহয় এই তো একটু খানি।
এখন ই উঠে পড়া যায় সেই পাহাড়ের চূড়ায়।
নদীটাও ভয়ঙ্কর কিছু নয়।
একটু সাঁতার দিলেই অপর প্রান্তে চলে যেতে পারতাম। অন্য একটা নতুন কোন জনপদ।
নতুন গাছপালা। নতুন মানুষ আর পাখ পাখালির চলাচল।
এই রকম সব স্বপ্নেরা আমার যৌবনের।
তখন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ,কালকূট,বুদ্ধদেব গুহর প্রায় অনেক টাই কয়েকবার করে শেষ করা হয়েগেছে।
পাহাড়, নদী, গাছপালা আর নীর্জনতা কে চিনতে এবং ভালবাসতে শেখায় যে সব কলম গুলো, একটা একটা করে, একটু একটু করে তাঁদের সরে যেতে দেখলে শূন্যতা ঘিরে ফেলে বৈকি!!
কোয়েলের কাছে দাঁড়িয়ে বুদ্ধদেব কেই খুঁজেছি বারবার।
সারান্ডার জঙ্গলের পাশদিয়ে বিশাল বিশাল শাল সেগুন কে পেছনে ফেলে ইস্পাত এক্সপ্রেস যখন ছুটে চলে আমি সেই গভীর জঙ্গল আর তার পেট চিরে বর্ষার লাল জল বয়ে আনা অজানা নদী দের দিকে তাকিয়ে খুঁজে ফিরি বিভূতিভূষণ কে।
গভীর রাতে স্টেশনের ওভারব্রিজের উপর থেকে ঝিঁঝিঁ ডাকার তীব্র শব্দের মধ্যে ও এক অদ্ভুত বলতে না পারা অনুভূতি।
অবচেতন মনের গভীরে যার স্রষ্টা এই সব কালজয়ী সাহিত্যিকদের দল।
যারা মানুষকে বন, জঙ্গল,মাঠ, পাখি আর নদীদের ভালবাসতে শেখায়।
দূরের মাঠ গুলো তখন পূর্নিমায় দিনের আলোর মত পরিষ্কার।
সেই পূর্নিমা সারা শরীরে মেখে, কারো, কোয়েনা,আর কোয়েলের বুকে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে থাকুন রোমান্টিক প্রকৃতি প্রেমিক বুদ্ধদেব গুহ।
বর্তমান বাঙলা সাহিত্যের “J for jealousy”