শুভজিৎ বন্দোপাধ্যায়
বারো বছর হলো বাবা নেই।
কাল যা ছিল শোক আজ তা শুধুই স্মৃতি।
এখনও পথ চলতে কেউ যদি বলে ” তোমার বাবা আমাদের বাঙলা পড়াতেন।
রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি” কি সুন্দর করে বুঝিয়ে দিতেন স্যার।
এখনও ভুলি নি”!
কথা গুলো শুনতে ভালো লাগে। মনে লাগে।
হাটে বাজারে পথ চলতে হয়তো কোন বয়স্ক মানুষ আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বললেন ” তুমি সনৎ স্যারের ছেলে না? তোমার মুখ টা একদম স্যারের মতো!”
অচেনা সেই মানুষটির চোখের মুগ্ধতা অদ্ভুত রকমের ভালো লাগে।
বাবার চেহারা, বাবার কথা, বাবার পড়ানোর ধরণ, বাবার কবিতা পাঠ, এই সব এখনও কিছু কিছু মানুষের মনজুড়ে রয়েগেছে ….
ভাবলে অবাক হই!!
এভাবেই তিনি আজ ও বিরাজমান আমার অজানা অচেনা কত না হৃদয়পুরে।
হয়তো তাঁর জন্ম বা মৃত্যুর দিন টা সবার মনে নেই, এবং তা না থাকাটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু এই যে হঠাৎ করে কোনো কবিতায়, কোন ঘটনায়, কোনো বিশেষ মূহুর্তে অকারণ তাঁকে মনে পড়া,স্মরণ করা এ বড় সহজ নয়। এ জন্য কোন দিন খন লাগে না।
অসাধারণ শিক্ষণপদ্ধতি, সহজ সরল জীবন যাপন।
আদর্শের এক আদর্শ সঙ্গা আমার বাবা। সর্বোপরি সেই বিখ্যাত হাসি মুখটা…
যা এখনও চোখ বন্ধ করে দেখা যায়…
এভাবেই কত অজানা, অচেনা মানুষের মনজুড়ে জীবন ভর বেঁচে থাকবেন আমার বাবা, সকলের ভালবাসার সনৎ স্যার।
হোক না সে হঠাৎ কোনো এক মূহুর্তের ই জন্য!!