মন্দমতি নিম্নগতি
শুভজিৎ বন্দোপাধ্যায়
আনন্দ বাজার পত্রিকায় কয়েকদিন আগে দেখলাম বিশ্বের সেরা দশজন ধনীর তালিকা।
এই সেরা দশের মধ্যে রয়েছেন অনলাইনে পন্য সামগ্রীর বিক্রেতা, ইন্টারনেট, মোবাইল, ফেসবুক নয়তো গুগলের সম্রাটরা।
লকডাউনের আঘাতে বিভিন্ন ভারী শিল্প, ছোট,বড় এবং মাঝারি ধরনের সমস্ত শিল্প যখন গভীর লোকসানের মুখে ঠিক তখনই সম্পূর্ণ অন্য ধরনের অন্য ধারার অনলাইনের ব্যবসায় লগ্নীকারী শিল্পপতিদের একাউন্টে জমা হলো বিপুল ধনসম্পদ।
একেই বোধহয় বলে কারো পৌষমাস আর কারো সর্বনাশ।
দেনায় জর্জরিত হয়ে ফিউচার গ্রুপ তাদের অত্যন্ত জনপ্রিয় বিগবাজার বেচে দিতে বাধ্য হলো। অফলাইনে চলা দেশের অন্যতম বৃহৎ এই রিটেল ব্যবসা অনলাইনের ধাক্কায় আজ কুপোকাত!
ছোটখাটো মুদিখানার বা জামাকাপড়ের দোকানগুলোর অবস্থা যে আরও অনেক ভয়ঙ্কর তা সহজেই অনুমেয়।
লকডাউনের এসে আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনের অভিমূখ যে কি ভীষন রকম বদলে দিল
তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
দূরত্ববিধির শাসনে আর কোভিডে মরার ভয়ে, আমাদের কেনাকাটার অভ্যাসটা অফলাইন থেকে হঠাৎ করে অনলাইনে পরিবর্তিত হয়ে গেল।
সেই স্রোতে গা ভাসিয়ে মার্চে লকডাউন শুরু হবার পর এপ্রিল মাসেই অনলাইনে মুদিখানার ব্যবসায় জনপ্রিয় “বিগ বাস্কেটের” বিক্রি বেড়েছিল ৩৫% এবং তার পরবর্তী মাস গুলো তে গড়ে ২০%।
একই রকম ভাবে এই সময়ে এ্যমাজন, ফ্লিপকার্ট,মিন্ত্রার মতো অতিপরিচিত অনলাইন প্লাটফর্মের শ্রীবৃদ্ধি ও চোখে পড়ার মতো।
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই পরিবর্তন অবশম্ভাবী ছিল, কিন্তু যে পরিবর্তন স্বাভাবিক গতিতে আগামী কয়েক বছরে ধীরে ধীরে হতে পারতো তাকেই এক ধাক্কায় ছ’মাসের মধ্যে দূরন্ত গতিতে শুরু করানো হলো হয়তো বা এই করোনা ভীতি কে সামনে রেখেই।
মানব সভ্যতার যত বয়স বাড়ছে প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ ততই বেসামাল হয়ে পড়ছে মন্দবুদ্ধি চালিকা শক্তির প্রভাবে।
রবীন্দ্রনাথ যতই বলুন না কেন”মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ”, তবু মনে হয়, মানুষের এই সভ্যতায় মানুষই মানুষের পরম শত্রুতে পরিবর্তন হচ্ছে ধীরে ধীরে দিনে দিনে।
শেষের সেদিন ভয়ঙ্কর তবু ফিরিবার পথ নাই।
এভাবে চলতে চলতেই হয়তো চলে যেতে হবে
নিরুপায় হয়ে!!
এই সেরা দশের মধ্যে রয়েছেন অনলাইনে পন্য সামগ্রীর বিক্রেতা, ইন্টারনেট, মোবাইল, ফেসবুক নয়তো গুগলের সম্রাটরা।
লকডাউনের আঘাতে বিভিন্ন ভারী শিল্প, ছোট,বড় এবং মাঝারি ধরনের সমস্ত শিল্প যখন গভীর লোকসানের মুখে ঠিক তখনই সম্পূর্ণ অন্য ধরনের অন্য ধারার অনলাইনের ব্যবসায় লগ্নীকারী শিল্পপতিদের একাউন্টে জমা হলো বিপুল ধনসম্পদ।
একেই বোধহয় বলে কারো পৌষমাস আর কারো সর্বনাশ।
দেনায় জর্জরিত হয়ে ফিউচার গ্রুপ তাদের অত্যন্ত জনপ্রিয় বিগবাজার বেচে দিতে বাধ্য হলো। অফলাইনে চলা দেশের অন্যতম বৃহৎ এই রিটেল ব্যবসা অনলাইনের ধাক্কায় আজ কুপোকাত!
ছোটখাটো মুদিখানার বা জামাকাপড়ের দোকানগুলোর অবস্থা যে আরও অনেক ভয়ঙ্কর তা সহজেই অনুমেয়।
লকডাউনের এসে আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনের অভিমূখ যে কি ভীষন রকম বদলে দিল
তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
দূরত্ববিধির শাসনে আর কোভিডে মরার ভয়ে, আমাদের কেনাকাটার অভ্যাসটা অফলাইন থেকে হঠাৎ করে অনলাইনে পরিবর্তিত হয়ে গেল।
সেই স্রোতে গা ভাসিয়ে মার্চে লকডাউন শুরু হবার পর এপ্রিল মাসেই অনলাইনে মুদিখানার ব্যবসায় জনপ্রিয় “বিগ বাস্কেটের” বিক্রি বেড়েছিল ৩৫% এবং তার পরবর্তী মাস গুলো তে গড়ে ২০%।
একই রকম ভাবে এই সময়ে এ্যমাজন, ফ্লিপকার্ট,মিন্ত্রার মতো অতিপরিচিত অনলাইন প্লাটফর্মের শ্রীবৃদ্ধি ও চোখে পড়ার মতো।
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই পরিবর্তন অবশম্ভাবী ছিল, কিন্তু যে পরিবর্তন স্বাভাবিক গতিতে আগামী কয়েক বছরে ধীরে ধীরে হতে পারতো তাকেই এক ধাক্কায় ছ’মাসের মধ্যে দূরন্ত গতিতে শুরু করানো হলো হয়তো বা এই করোনা ভীতি কে সামনে রেখেই।
মানব সভ্যতার যত বয়স বাড়ছে প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ ততই বেসামাল হয়ে পড়ছে মন্দবুদ্ধি চালিকা শক্তির প্রভাবে।
রবীন্দ্রনাথ যতই বলুন না কেন”মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ”, তবু মনে হয়, মানুষের এই সভ্যতায় মানুষই মানুষের পরম শত্রুতে পরিবর্তন হচ্ছে ধীরে ধীরে দিনে দিনে।
শেষের সেদিন ভয়ঙ্কর তবু ফিরিবার পথ নাই।
এভাবে চলতে চলতেই হয়তো চলে যেতে হবে
নিরুপায় হয়ে!!
একেবারে বাস্তবচিত্র।
ধন্যবাদ