অ-রাজনৈতিক
শুভজিৎ বন্দোপাধ্যায়
স্বাধীনতা এবং দেশভাগের পর থেকেই চলে আসছে অনুপ্রবেশের সমস্যা।
নারী পাচার থেকে গরু পাচার, বেআইনি কয়লা,বালি, মাটির ব্যবসা কোনটাই সিপিএম বা তৃণমূল জামানা থেকে শুরু হয়নি।
সবই ছিল। সবই চলছিল।
হিন্দু-মুসলমান নিয়ে রাজনীতির বয়স আর ভারতের স্বাধীনতার বয়স কমবেশী একই।
দুজনের ই বয়স হয়েছে।
বুড়ো হয়েছে।
তাই নতুন কিছু চাই।
দরকার প্রাদেশিক বিভাজন। তাই রাজনৈতিক কারবারিরা নিজেদের কারবার বজায় রাখতে শুরু করেছেন এই নতুন পদ্ধতি। কাজ হচ্ছে কি না ভোটের ফলাফল ই বলবে, কারণ সমস্ত কিছুই তো ভোটের মুখ চেয়ে।
২০১০ সালের পর আমরা পরিবর্তন চেয়েছিলাম।
পেয়েও ছিলাম।
আবার ও কিছু মানুষ পরিবর্তনের আশা করছেন
আগামী নির্বাচনে।
একসময় যে বাঙালি সারা ভারত শাসন করেছে দেশের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন, কালের প্রবাহে আজ সেই বাঙালি শাসনব্যবস্থা সারা দেশ থেকে প্রায় বিলুপ্ত।
ব্যাতিক্রম আমাদের পশ্চিমবঙ্গ।
কাজের মাঝে ভুল থাকে। কিন্তু হঠাৎ করেই বাংলার মিডিয়া, সোস্যাল মিডিয়া, এবং কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার শাসনব্যবস্থার ভুল ত্রুটি নিয়ে ভীষন রকমের উদ্বিগ্ন।
সমস্ত বেআইনিপাচার, অবৈধ ব্যবসা, দূর্নীতি,সন্ত্রাস কেবলমাত্র এই একটি রাজ্যতেই চলেছে?
ব্যপারটা খটকা লাগে না?
তাও সব কিছু আবার ঠিক ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে আগেই?
আমাদের অভাবের দেশে, অশিক্ষার দেশে পয়সাই কথা বলে। তাই পরিবর্তনের পরিবর্তন করানো কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।
আমাদের মতো সাধারণ মানুষ যারা সকাল বিকেল বাঁচার জন্য মরছে তারা বুঝতেও পারবে না বাংলা থেকে তথা ভারতবর্ষ থেকে হয়তোবা চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাবে,ব্যানার্জী, মুখার্জি,চ্যাটার্জী,ঘোষ,বোস, মিত্র, রহমান, মোল্লা, ইসলাম দের বাঙালি মাছ ভাতের শাসনব্যবস্থা!!
বাংলা আর বাংলাভাষায় কথা বলবে না।
আমরা বারবার পরিবর্তন চেয়েছি সরকারের
কিন্তু একবার ও ভাবিনি কি কি পরিবর্তন করে এই সরকার কে দিয়ে ই আরও ভালো কিছু করানো যায়।
সঠিক সময়ে একদল সুযোগ সন্ধানী দলবদল করে জনতাকে ঠকায়।
জনতা মূর্খের মতো চেঁচামেচি করে, মারামারি করে…..
আর নেপোয় দই খেয়ে যায়।