পাগলা কবি
শুভজিৎ বন্দোপাধ্যায়
কবি কাকু কাশছিলো,
সন্ধ্যা হয় হয়, একলা
রাস্তার মোড়ে বন্ধ দোকান পাট
কারণ করোনা, তবু মন মানেনা,
তাই সকালে বিকেলে আসা-যাওয়া তার যায়না।
কবি কাকু কাশছিলো,
সামনে পিছনে কে আছে খেয়াল করেনি।
বয়স বেড়েছে ছেলে মেয়েদের পরিবার গেছে বেড়ে,
বউ চলে গেছে চাকরি ও গেছে
ছেলে, নাতিপুতি ফেলে।
কবি কাকু কাশছিলো,
আঁধারের মাঝে চলা ছায়াছবি বোঝেনি।
হঠাৎ কে যেন খপাৎ করে ধরলো,
চলেন দাদু, এক টানেতেই অটোর ভেতরে ব্যাস…
নীল গদি আর সাদা চাদরের লোহার খাট,
করোনা ভীলায় পাকাপাকি হলো বসবাস।
কেউ জানলো না খোঁজ ও নিলনা কবি কাকু হলো হাওয়া।
সোস্যাল মিডিয়া আপডেট দিল
ঘোষপাড়ায় করোনা গিয়েছে পাওয়া!!!
কবি কাকু ঘোষ, আর ছিল দোষ
বার কয় কেশেছিলো।
শেষ জীবনের ডাল রুটি তাই
পাগলাগারদ ই দিলো!!