পথের পাঁচালী
শুভজিৎ বন্দোপাধ্যায়
যে পথে একসময় দৈনিক হাজার খানেক গাড়ি চলাচল করতো আজ সেই পথে ঘন্টায় হাজারের বেশি বিভিন্ন ধরনের গাড়ির চলাচল।
অজস্র দোকান আর অনেক অনেক মানুষের বসবাস। দিন দিন আয়তনে বাড়ছে আমাদের এই বৃহত্তর কলকাতা।
কিন্তু যে পথে র পাশে আমাদের বসবাস, সেই পথ অর্থাৎ আমাদের বীরেন রায় রোড(পশ্চিম) আজ ও পরিসরে বাড়ে নি। রাস্তার দুপাশে র চওড়া খাল বুঁজে গিয়ে দেড় দুই ফুট চওড়া ড্রেন অবশিষ্ট আছে।দোকান, বাড়ি আরও কত কিছু সব রাস্তা য় উঠে এসেছে। সেখানের আবর্জনা প্রতিদিন জমা হচ্ছে ঐ ভাঙাচোরা ড্রেনে।
জল নিকাশী নয় আবর্জনার ভ্যাটে পরিবর্তিত হয়েছে ঐ ড্রেন। ফলে বর্ষার জল রাস্তা থেকে সরে না। আর জল জমলেই রাস্তার আয়ু শেষ এ কথা সবাই জানে।
এই পথে ভারী গাড়ির চলাচল দিন দিন বাড়বেই এটা স্বাভাবিক। তাই কেবলমাত্র রাস্তা ভাঙা বলে ছবি তুলে সোস্যাল মিডিয়া ভরাট করে মনে হয় বিশেষ লাভ নেই। এর ফলে যে ধরনের টেম্পোরারি প্যাচ আপ ওয়ার্ক হবে সেই দিয়ে ভোট উৎসব কাটিয়ে ওঠা সম্ভব কিন্তু তার পর আবার সেই একই অবস্থা!!
প্রকৃতপক্ষে এই রাস্তার আমূল সংস্কার দরকার। ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই পথ কে দুই লেনের রাস্তায় উন্নীত করার বিশেষ প্রয়োজন। অবশ্যই তার জন্য প্রয়োজনীয় পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।তার সঙ্গে থাকবে উপযুক্ত জলনিকাশী ব্যবস্থা । ড্রেনের মুখ ঢাকা থাকবে তাতে করে আবর্জনা ফেলা ও বন্ধ হবে।
এভাবে যদি কখনও এই রাস্তার সংস্কার করা যায় তবে তার ফল হবে সুদূরপ্রসারী।
এবং একদিন এই কাজ করতেই হবে। লাভ লোকসান আর ভোটের অঙ্ক কষে ভবিষ্যত কে আটকে রাখা যাবে না।
একটা সুন্দর পথ, সুন্দর যোগাযোগ ব্যবস্থা একটা সভ্যতার মেরুদন্ড।
আমাদের ভবিষ্যত আমাদের এলাকার মানুষের উন্নয়ন সব ই ঐ পথের ওপর নির্ভর করে। একথা নেতা থেকে জনতা কারো অজানা নয়।