জীবন মানেই শান্ত্বনা | Santwana

জীবন মানেই শান্ত্বনা
শুভজিৎ বন্দোপাধ্যায়

যখনই তার কথা কিছু লিখবো ভাবি, মোবাইল টা হঠাৎ বেজে ওঠে নয়তো কোন কাজ দুম করে এসে পড়ে।
তাও যদি না হয় তো, ছেলেরা কোন কিছু প্রশ্ন নিয়ে হাজির।
যদি এসব কিছু নাও ঘটে তখন নির্ঘাত ছোট খাটো কোন বিষয়ে বাদানুবাদ উপস্থিত।
পাতি ভাষায় যাকে বলে” দাম্পত্য কলহ”।
ব্যাস মুখ ভার,মুড অফ খেলা শেষ। লেখা শেষ, ভাবনা চিন্তা সব “লকডাউন”।
তবুও বাতাসের মতো, সূর্যের আলোর মতো নিয়ম করে প্রতিদিনের পারিবারিক জীবন চলতে থাকে বিনা বাক্য ব্যয়ে। ইঙ্গিতে, ইশারায়।

অনেক গুলো বছর একসাথে থেকেও এখনো মাঝে মাঝে সম্পর্ক টা ভারত পাকিস্তানের মতো কিম্বা তৃণমূল বিজেপি র মতো হয়ে যায়।
কেন জানি না।
আর ঠিক সেই মুহূর্তগুলোতে
দুজনের কেউই একে অপরের কথা,কাজ, এমন কি চুপ থাকা টাও স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারিনা। সব কিছুতেই যেন অসহ্য লাগে, সবকিছু বিরক্তিকর বোধ হয়।

তবু ও পরস্পর কে ছাড়া চলে না।

একটা বেলা মা এর কাছে গেলেই আমার চোখ অন্ধকার। দরকারি জিনিসপত্র খুঁজে পাইনা।

তবে কি এতদিনের পাশাপাশি থাকা টা কেবলমাত্র প্রয়োজন ভিত্তিক!

ভালবাসা বা প্রেম ব্যাপারটা কি ঠিক মতো করে উঠতে পারিনি! পরিবর্তে কেবলমাত্র সহাবস্থান!
মানিয়ে নেওয়া? Adjustment!!

Arranged marriage এ কি ভালোবাসা ঠিক ঠাক হয় না!

মানুষের মন বিচিত্র প্রশ্নের এক আজব কারখানা।

সমরেশ বসু র ভালবাসা, সুনীল গাঙ্গুলি র ভালবাসা, জীবনানন্দের ভালোবাসা, সাবিত্রী,দেবদাস,চারু, সোহিনী কিম্বা কেতকী আর লাবন্যদের ভালবাসা গুলোর যে সমস্ত definition আমাদের জীবন যৌবন কে ভরিয়ে রেখেছে তাদের কোন কিছুর সঙ্গে ই যখন নিজেদের ঠিক মত মেলাতে পারি না তখন হঠাৎ ই মনে হয়
এসবের বাইরেও তো কিছু হতে পারে!
অন্য কোন রকম। উপলব্ধির নতুন কোন dimension!
একেবারেই কি অসম্ভব?

কালো অথবা পিচ রং টা ওকে মানায় বেশ,
হাঁসির সাথে সাথে কানের দুল আর মাথার দুপাশের একটুখানি কোঁকড়ানো স্প্রিং এর মতো চুল গুলোর combination টা মন্দ লাগে না।
কিন্তু মুখ ফুটে বলতেই যতো সঙ্কোচ।

তিনি আবার, আমার সাদা চামড়ার উপর কাঁচা হলুদ রঙের বা গাঢ় নীল রঙের পাঞ্জাবী টা যে বেশ মানানসই,
কিম্বা আমার বিশাল নাক,যা নাকি ভীড়ে ঠাসা শিয়ালদা স্টেশনে দাঁড়ালেও দ্বিতীয় মানুষের মধ্যে দেখতে পাওয়া যাবে না। এমন ই “উন্নাসিক” আমি।
এমন কথা হঠাৎ শুনতে ভালো ই লাগে।

এই সব বিশেষণ পরস্পর কে দেওয়া বিভিন্ন ছোট খাটো অবসরের মূহুর্তে।
এমনি সব ছোটখাটো কথা, খুশি,বকবকের মধ্যে দিয়ে কখন, কোথা থেকে কিভাবে ভালবাসা উঁকি দিয়ে যায় আমরা কেউ ই খেয়াল করি না।

আসলে আমরা দুজনে কেউই তো সাহিত্যিক নই, দেখার সেই দৃষ্টি টা নেই, নেই মনের সেই গভীরতা।বুঝবো কেমন করে!

তবে কি জীবন মানে ই সাহিত্য আর কাব্যের স্রোত, তুমি বোঝ বা না বোঝো?
আর ভালবাসা মানে সেই সব কিছু দুর্লভ মূহুর্ত,যা এক পলকে ই সারা জীবনের জন্য মনে রয়ে যায়।
সময় মতো বলা হোক বা নাই হোক!
হয়তো বা!!

বিঃ দ্রঃ: কোন বিশেষ দিনের বিজ্ঞাপন ভেবে ভুল না করলেই খুশি হবো।